ছালড়া শালবন (Salora Forest) ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার অন্তর্গত দুল্লা ইউনিয়নের ছালড়া গ্রামে অবস্থিত। প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই ছালড়া শালবন। ছালড়া গ্রামে রয়েছে— বেতগাছ ও বাঁশবন, যার ভেতরে জোয়ারের পানি জমে থাকে, আর সেখানকার বেত এবং বাঁশের কচিকাণ্ড অনেকটা সুন্দরবনের শ্বাসমূলের মতো দেখায়। সেই সঙ্গে রয়েছে শালবন। বিশাল কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন দীঘি রয়েছে। শান্ত দীঘির জলের সৌন্দর্য উপভোগে অনেকেই ঘুরতে আসেন ছালড়া।
একদিনের ছোট্ট একটা ট্যুরের জন্য মন্দ নয় জায়গাটা। জঙ্গলের ভিতর সুনসান পাকা রাস্তা দিয়ে যখন হাটতে থাকবেন অনুভূতিটা সুন্দরবনের গহীনের নিস্তব্ধ পরিবেশ থেকে কোন অংশে কম মনে হবে না। সাথে বোনাস হিসেবে বনের ভিতর পাবেন বিস্তৃত এরিয়া জুরে বিশাল একটি লেক এবং তাতে নৌকা দিয়ে চড়ার একটি মনোরম অভিজ্ঞতা।
অনেকের কাছে আহামরি কিছু হয়ত মনে হবে না তবে ছোট পরিসরের একটি ভ্রমনে ভ্রমনপিয়াসুরা একেবারে হতাশ হবেন না এটা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়।
ঢাকা থেকে অনেক বাস ময়মনসিংহ এর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এদের মধ্যে এনা পরিবহন অন্যতম, ভাড়া ২২০ টাকার কাছাকাছি। ময়মনসিংহ পৌছে টাউনহল মোড় থেকে সিএনজি দিয়ে সরাসরি মুক্তাগাছা চেচুয়া বাজার যেতে হবে। যেতে সময় লাগবে আনুমানিক ৪৫-৫০ মিনিট এবং জনপ্রতি ভাড়া পরবে ৮০-১০০ টাকা।
চেচুয়া বাজার থেকে ব্যাটারি চালিত ভ্যানগাড়ি দিয়ে সরাসরি ছালড়া বাজার হয়ে ছালড়া শালবন জঙ্গল পর্যন্ত যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে সময় লাগবে ২৫-৩০ মিনিট, ভাড়া পরবে জনপ্রতি ২০ টাকা।
যেখানে নামায় দিবে সেখান থেকে বামে একটা কাঁচা রাস্তা আছে বনের ভিতরের লেকে যাওয়ার জন্য। ওদিক দিয়ে না যেয়ে সোজা পাকা রাস্তা ধরে জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যেতে পারেন। কারন এই রাস্তাটাই এখানের মূল আকর্ষন। একটু সামনে এগুলে বায়ে জঙ্গলের ভেতর দিয়ে হাটার রাস্তা গেছে লেকে যাওয়ার। এবার এই রাস্তা দিয়ে যেতে হবে। রাস্তা থেকে লেক দেখা যায় তাই চিনতে তেমন ভুল হবে না। তারপর লেকের ধার ঘেষে বাম পাশ দিয়ে হেটে যেতে থাকলে নৌকায় চড়ার ঘাটটি পেয়ে যাবেন।
ছোট কিরে ৩-৪ জনের গ্রুপ করে গেলে খুব ভালো হবে। একটা জিনিস মাথায় রাখবেন, স্পটে খাবার তেমন কিছুই পাবেন না। তাই চেচুয়া বা ছালড়া বাজার থেকে শুকনো খাবার কিছু সাথে নিয়ে যাবেন। যারা দূর থেকে আসবেন চেষ্টা করবেন ৪ টার ভিতর ওখান থেকে ব্যাক করার।
Leave a Comment