রায়পাড়া জমিদার বাড়ি (Raipara Jamidar Bari) ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার রায়পাড়া গ্রামে অবস্থিত। স্থানীয়ভাবে রায়পাড়া জমিদার বাড়িটি রায় বাড়ি নামেও পরিচিত। এই জমিদার বাড়ির মূল আকষর্ণ হচ্ছে এ বাড়ির চারপাশে চারটি ডুপ্লেক্স এবং মধ্যিখানে আঙ্গিনা। বাড়ির পাশেই রয়েছে মন্দির এবং তারপাশে বয়ে চলেছে আখিরা নদী, যেখানে রয়েছে জমিদার আমলের বাঁধানো ঘাট।
রায়পাড়া জমিদার বাড়িতে বিচারের জন্য জাঁকজমকপূর্ণ এজলাস ছিল, সকাল সন্ধ্যা বাজত শঙ্খ, জমিদার বাড়ির নারীরা দল বেঁধে পূজোয় বসতেন। ভাঙ্গা উপজেলা সদর থেকে ৩ কিলোমিটার পশ্চিমে আখিরা নদীর ধার ঘেঁষে অবস্থিত রায়পুরের এ জমিদার বাড়ির জমিদার ছিলেন লাসমন সিং। তার মৃত্যুর পর দেশ বিভাগের আগে ছেলে মুরালি সিং ও বদি সিং ভারতে চলে যান। ছোট ছেলে বীরেন সিং জমিদার বাড়িতে থেকে গেলেও একটা সময়ে তিনিও চলে যান। তবে বীরেন সিং যাওয়ার আগে তিনি আখিরা নদীর তীরবর্তী জমিদার বাড়ি ও বেশ কিছু সম্পত্তি দান করে যান রায়পুর উচ্চ বিদ্যালয় এর জন্য। শুধু পরে থাকে তাদের ১৯শ বিঘা জমি ও বাড়ি। এরপর জমিদার বাড়ি দেখা শোনার দায়িত্বে নিয়োজিত ও জমিদারের পাইক পেয়াদারা জমিদার বাড়ির সম্পত্তির মালিক বনে যান। ছোট আখিরা নদীর তীরবর্তী উঁচু ভিটার ওপর প্রায় ৬ একর জমির ওপর গড়ে উঠেছিল জমিদার বীরেন এর প্রাসাদ। প্রাসাদের চারিপাশে সারিবদ্ধ লম্বা নারিকেল গাছ ও ইট-সুরকি দিয়ে নির্মিত আধাপাকা বিশাল প্রাচীর।
প্রাচীর সংলগ্ন উল্টোদিকে দুটি বড় পুকুর, দক্ষিন – পশ্চিম দিকে ছিল জমিদার বীরেনের বিচারালয়, পশ্চিম পাশে রয়েছে অতিথিশালা, যা কিছুদিন আগেও রায়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস হিসেবে ব্যাবহার হত।উত্তর কোণে বসার ঘর ও শোবার ঘর, এক সময় এসব ভবনের নির্মাণশৈলী ছিল শিল্পকার্য খচিত ও মনোরম।
প্রথমে আপনাকে ঢাকা থেকে ফরিদপুরে যেতে হবে। ঢাকা থেকে ফরিদপুরে চলাচলকারী বাসগুলোর মধ্যে রয়েছে – গোল্ডলাইন এবং আজমিরি এন্টারপ্রাইজ (শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, ফোনঃ ০৬৩১-৬৬৯৮৮, মোবাইলঃ ০১৭৫৫৫২২২০০, ০১৭৩৩২০৮৮৭), জাকের এন্টারপ্রাইজ (ফোনঃ ০১৭১২৪২৪১৩৪), সাউদিয়া পরিবহন (ফোনঃ ০৬৩১-৬৩৬৪৪, মোবাইলঃ ০১৯১৬১৩৬৫৩১, ০১৭১৭৬০৫৫৭৬). এসি ৬০০ টাকা এবং নন-এসি ৩০০ টাকা ভাড়া। এদুটো বাস চেয়ার কোচ। এছাড়া বাকিগুলো নরমাল। সাউথ লাইন এর কাউন্টারের মোবাইল নাম্বার – 01713285400 (গাবতলী কাউন্টার)
ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা গোলচত্ত্বরে নেমে অটো রিক্সা বা বাইকে যাওয়া যায় রায়পুর গ্রামে।
ফরিদপুরে যাওয়ার পর পর্যটকদের থাকার জন্য খুব একটা চিন্তা করতে হবে না কারন ফরিদপুর সদরে থাকার জন্যে রয়েছে বিভিন্ন আবাসিক হোটেল। ফরিদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে আবাসিক হোটেল গুলোর দূরত্ব মাএ ১ কিলোমিটার, রিক্স ভাড়া ১০ টাকা। আবাসিক হোটেলের সর্বনিম্ন ভাড়া ৮০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ভাড়া ৯০০ টাকা। আবাসিক হোটেল গুলোতে সিঙ্গেল ও ডাবল উভয় বেড রয়েছে। সরকারি কর্মকতা ও কর্মচারীদের জন্য রয়েছে সার্কিট হাউজ।
হোটেলের নাম | মোবাইল নম্বর | ভাড়া |
হোটেল র্যাফেল ইনস | +০৬-৩১-৬১১০৬ | এসি-৯০০/- ননএসি-৩৪০/- |
হোটেল লাক্সারী | +০৬-৩১-৬২৬২৩ | এসি-৯০০/- ননএসি-৩৪০/- |
হোটেল পদ্মা | +০৬-৩১-৬২৬২৩ | এসি-৪০০/- ননএসি-১৬০/- |
হোটেল পার্ক প্যালেস | ০১৫৫৬৩২৭০৬৭ | এসি-৩৫০/- ননএসি-১৫০/- |
হোটেল শ্যামলী | +০৬-৩১-৬৪৫৩৮ | এসি-৩৫০/- ননএসি-১৫০/- |
হোটেল জোনাকী | +০৬-৩১-৬৪১৬৮ | ননএসি-৬০/- |
রাজ বোডিং | ০১৭২৫০৬৮৭৮৮ | ননএসি-৮০/- |
আঞ্চলিক ধান গবেষনা ইনষ্টিটিউট | +০৬-৩২৩-৫৬৩২৯ | ১০০/- ননএসি |
Leave a Comment