রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের আলাদিপুর গ্রামে অবস্থিত মুর্শিদ জামাই পাগল (রহঃ) (Murshid Jamai Pagol Mazar Sharif) এর মাজার শরীফ একটি ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় স্থান। অলৌকিক ঘটনা ও মানুষের বিপদমুক্তির কাহিনী এই মাজারকে ঘিরে রেখেছে রহস্য ও আধ্যাত্মিকতার আভায়। এই ভ্রমণ গাইডটিতে আমরা আপনাকে জামাই পাগলের মাজার ভ্রমণের সকল প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করার চেষ্টা করবো।
১৯৬০ সালের দিকে নেংটি পরিহিত এক ব্যক্তি বর্তমান মাজার প্রাঙ্গণের শেওরা গাছের নিচে অবস্থান নেন। তার নাম জামাই পাগল হওয়ার পেছনে একটি কাহিনী প্রচলিত আছে। কথিত আছে, পাবনার এক ধনী ব্যক্তি তার বোবা মেয়েকে গ্রামের এক পাগলের সাথে বিয়ে দেন। বিয়ের পর মেয়ে কথা বলতে শুরু করলেও পাগল জামাই উধাও হয়ে যান। পরে তাকে আলাদিপুরে খুঁজে পাওয়া যায়। তিনি আর সংসারে ফিরে না গিয়ে এখানেই থেকে যান। কথিত আছে, তিনি কলেরা আক্রান্ত মানুষদের সারিয়ে তুলেছিলেন। তার মৃত্যুর পর এক অজ্ঞাত ব্যক্তি তার সৎকারের ব্যবস্থা করেন এবং একটি মাজার স্থাপিত হয়। পরে নুর বাকের শাহ এবং গৌরী পাগলী এই মাজারের দেখাশোনা করেন। তাদের কবরও এই মাজার প্রাঙ্গণে অবস্থিত।
প্রতি বছর ১৫ ফাল্গুন এবং ৩১ ফাল্গুন দুটি বড় ওরস সহ মোট ৫ টি ওরস অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকার গাবতলি থেকে রাবেয়া, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, রাজবাড়ী পরিবহণ, সপ্তবর্ণা, সাউদিয়া পরিবহনের বাসে রাজবাড়ী যেতে পারেন। ভাড়া প্রায় ৫০০ টাকা। আর যারা ট্রেনে যেতে চান তাঁরা ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস, মধুমতি এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে রাজবাড়ী যেতে পারেন। ভাড়া শ্রেণিভেদে ৩৪০ থেকে ৭৮২ টাকা।
রাজবাড়ী জেলা সদর থেকে মাজারের দূরত্ব ৬ কিলোমিটার। রিক্সা বা ইজিবাইকযোগে সহজেই মাজারে পৌঁছানো যায়।
রাজবাড়ীতে থাকার জন্য কয়েকটি হোটেল হলো:
রাজবাড়ীতে বিভিন্ন ধরণের খাবারের রেস্টুরেন্ট পাওয়া যায়। স্থানীয় খাবারের স্বাদ নেওয়ার জন্য পান বাজারের ভাদু শাহার দোকানের চমচম, রেলগেইটের হৈরা শাহের চপ এবং ঝালাই পট্টির কুলফি মালাই খেতে পারেন।
Leave a Comment